স্ক্রিনশটস টেকনিক - গ্রামাটিক্যাল এরর চেক - কপিরাইট বিশ্লেষণ

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে স্ক্রিনশট টেকনিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেল লিখতে গেলে অনেক সময় স্ক্রিনশটের প্রয়োজন পড়ে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
স্ক্রীনশট টেকনিক - গ্রামারটিকাল এরর চেক - কপিরাইট বিশ্লেষণ - Plagiarism কি?কেন করবেন না
এছাড়াও এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের গ্রামারটিকাল এরর চেক, কপিরাইট বিশ্লেষণ, Plagiarism কি?কেন করবেন না এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন পড়া শুরু করা যাক।

স্ক্রীনশট টেকনিক

আর্টিকেল লেখার সময়  অনেক ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট টেকনিক ব্যবহার করতে হয় । তা না হলে আপনি পাঠককে সঠিকভাবে কোন কাজ কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারবেন না। এজন্য আটিকেল লিখতে গেলে আপনাকে অবশ্যই স্ক্রিনশট নিয়ে লিখতে হবে যাতে করে পাঠকরা সঠিকভাবে ধারণা পায়।

কারণ সব পাঠকরা লিখা নাও বুঝতে পারে এজন্য আপনাকে স্ক্রিনশট টেকনিক ব্যবহার করতে হবে। আর স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে স্ক্রিনশটটা যেন সুন্দর হয়। এবং আপনাকে প্রয়োজনমতো স্ক্রিনশট ব্যবহার করতে হবে।

অনেকে সুন্দরভাবে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক একটি পোস্টে কিভাবে স্ক্রিনশট টেকনিক ব্যবহার করতে হয়। ধরুন আপনি কোন একটি পোষ্টের মধ্যে স্ক্রিনশট আপলোড করবেন। তাহলে কিভাবে করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বিভিন্ন ডিভাইস থেকে বিভিন্নভাবে স্ক্রিনশট নিতে হয়। কিছু কিছু ফোনের ক্ষেত্রে ভলিউম আপ বাটন এবং পাওয়ার বাটন  একসাথে চাপ দিলে স্ক্রিনশট হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু ফোন আছে যেগুলোই ফোনের স্কিনের তিনটি আঙ্গুল দিয়ে স্কিনের উপর থেকে নিচের দিকে চাপ দিলে স্ক্রিনশট হয়ে যায়। এবং ল্যাপটপ বা ডেক্সটপের ক্ষেত্রে স্নিপিং টুল ব্যবহার করে স্ক্রিনশট নিতে পারেন।

আপনি কোন একটি পোষ্টের মধ্যে স্ক্রিনশট আপলোড করবেন তখন পুরো স্ক্রিনশটটা আপলোড না করে যতটুকু দেখানোর প্রয়োজন বা যতোটুকু দেখলে পাঠকরা বুঝতে পারবে ঠিক ততটুকুর স্ক্রিনশট নিতে হবে। এবং বাকিটুকু কেটে ফেলতে হবে। এবং স্ক্রিনশট এর মধ্যে যেটা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস সেটা কে আপনি মার্ক করে দেখাতে পারেন।

স্ক্রিনশট নেওয়ার পর আপনাকে স্ক্রিনশটটা অবশ্যই এডিট মডিফাই করতে হবে। এডিট মডিফাই করার জন্য ফটোশপ নামক সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। আর আপনি সেখান থেকেই ছবিটা কে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিবেন।

এডোবি ফটোশপ থেকে আপনার ছবি এডিট মডিফাই করার সময় আপনার ছবিতে জলছাপ দিয়ে আপনার লোগর নাম দিতে পারেন। যাতে আপনার ছবিটা কেউ চুরি করতে না পারে।

ফোন থেকে যদি ইডিট মডিফাই করতে চান তাহলে ফোনের এডিট অপশনে গিয়ে এডিট করে নিতে পারবেন।

গ্রামারটিকাল এরর চেক


আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যাকরণগত ভুল হয়ে থাকে। গ্রামারটিকাল এরর চেক করার মাধ্যমে তার সংশোধন করা যায়।গ্রামারটিকাল এরর কিভাবে চেক করবেন এই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। চলুন পড়া শুরু করা যাক।

গ্রামারটিকাল এরর আমরা দুই ভাবে চেক করব। কারণ আমরা বাংলা এবং ইংলিশ এই দুইটি ভাষা দিয়ে আর্টিকেল লিখে থাকি। ইংলিশ দিয়ে লেখার সময় ইংলিশে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে তার নিচে রেড কালার লাইন দেখতে পাওয়া যায়। সে বানানটি শুদ্ধ করার জন্য শব্দটির উপরে রাইট বাটন ক্লিক করলে কিছু সঠিক অপশন আসবে।এইভাবেই ভুল গুলো ঠিক করে নিতে পারবেন । অবশ্য বাংলা ক্ষেত্রে এটা দেখা যায় না।

যেহেতু আমরা বাংলা দিয়ে কনটেন্ট লিখতে পছন্দ করি সেহেতু অবশ্যই আমাদের অভ্র স্পেলিং চেক করতে হবে। এবং অভ্র স্পেলিং দিয়ে ভুল লেখাটি সঠিক করে নিতে হবে।

কপিরাইট বিশ্লেষণ

কপিরাইট এই কথাটি শুনলে আমাদের সবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কপিরাইট হচ্ছে কারো কোন লেখা বা পোস্ট কপি করে নিয়ে এসে পেস্ট করা। কিন্তু কপিরাইট বলতে এটি কে বুঝানো হয় না।

কপিরাইটের মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। নিচে এগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো;
  • ATTENTION
  • PROMISE
  • CALL TO ACTION
সাধারণভাবে অ্যাটেনশন বলতে বোঝায় প্রথম দেখাতেই ব্যক্তির নজর কাড়ে বা আইকেচিং। আপনাকে প্রথম দু-এক কথা এমন ভাবে বলতে হবে যেন সেই ব্যক্তিটি কথাটি মনোযোগ সহকারে শুনে মূলত সেটাকেই ATTENTION বলা হয়ে থাকে।

আপনি কোন সেবা আপনার কাস্টমারকে দিচ্ছেন এটা এই কাজ বা এইটার এই লেভেল পর্যন্ত আপনাক নিয়ে যেতে পারবে সেই সম্পর্কে বিজ্ঞাপনের মধ্যে থাকতে হবে তাকেই বলা হয় PROMISE

আপনি যদি পাঠকের এটেনশন তারপর প্রমিস দিয়ে যদি কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাহলে মূলত সেটাকে CALL TO ACTION বলা হয়ে থাকে।

আশা করছি কপির রাইট সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

কপি রাইটিং হচ্ছে কোন ব্যক্তির অ্যাটেনশন ছিক করে তাকে কিছু প্রমিস করার মাধ্যমে তার কাছে কোন সেবা বিক্রি বা তার কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Plagiarism কি?কেন করবেন না

চলুন জেনে নেওয়া যাক Plagiarism বিষয়টা কি বলতে কী বোঝায়। মনে করুন আপনার ওয়েবসাইটে কোন একটি পোস্ট বা আর্টিকেল লিখেছেন। সেই লেখাটা অন্য কেউ আপনার ওয়েবসাইট থেকে পুরো পোস্ট কপি করে তার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করে দিয়েছে। বা ধরেন যে আপনার পোস্টটি কেউ অর্ধেক কপি করে তার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করেছে। 

আবার এমনও হতে পারে যে কোন ব্যক্তি আপনার ওয়েবসাইটের কোন পোস্টে কয়েক লাইন লিখা নিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করে দিয়েছে।কিন্তু আপনাকে কোন ক্রেডিট দেয়নি। সেই ক্ষেত্রে এটিকে প্লেজারিজম বলা হয়।আমার লেখা পোস্টকে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকে প্লেজারিজম বলা হয়ে থাকে।

আপনার লেখা পোস্টটি কেউ চুরি করেছে কিনা সে ব্যাপার কিভাবে বুঝবেন চলুন সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক;

যদি আপনি জানতে চান আপনার লেখা আর্টিকেল বা পোস্ট কেউ চুরি করেছে কিনা বা কারো ওয়েবসাইটের সাথে মিলে গেছে কিনা তার জন্য আপনাকে একটা কাজ করতে হবে। আপনি আপনার আর্টিকেলের কিছু অংশ কপি করে গুগল সার্চে গিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন যে কোন কোন ওয়েবসাইট আপনার পোস্টটি চুরি করেছে।

প্লেজারিজম কেন করবেন না, কারণ প্লেজারিজম এক ধরনের অপরাধ।প্লেজারিজম থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। যদি কেউ আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট চুরি করে ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আপনি লিগেল স্টেপ নিতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠক এই পোস্টটির মাধ্যমে স্ক্রিনশট টেকনিক,গ্রামারটিকাল এরর চেক ,কপিরাইট বিশ্লেষণ, Plagiarism কি?কেন করবেন না এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এবং এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদেরও জানার সুযোগ করে দিবেন।
* ধন্যবাদ*

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ার্ল্ডস টুয়েন্টিফোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url