লোহিত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় সম্মানিত পাঠক হয়তোবা আপনি লোহিত রক্ত কণিকার আয়কর গড় আয়ু কত দিন সে সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও কোন তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা এই মাধ্যমে রক্ত কণিকার গড় আয়ু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
লোহিত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন
রক্ত প্রাণীদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রক্ত এক ধরনের ক্ষার ধর্মীয় তরল যোজক টিস্যু। শ্বেত রক্তকণিকার গড় আয়ু কত দিন? অণুচক্রিকার গড় আয়ু কত দিন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব তাহলে চলুন পড়া শুরু করা যাক।

ভূমিকা

রক্তরসের মধ্যে ছড়ানো বিভিন্ন রকমের কোষকে রক্ত কণিকা বলা হয়। রক্তকণিকা গুলো প্রধানত তিন রকমের হয়। যথাঃ
  • লোহিত রক্তকণিকা বা এরিথ্রোসাইট
  • শ্বেত রক্তকণিকা বা লিউকোসাইট এবং
  • অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট।

লোহিত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন

মানব দেহের পরিণত লোহিত রক্তকণিকা দ্বি অবতল এবং চাকতি আকৃতির হয়ে থাকে। এতে হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে রক্ত দেখতে লালবর্ণের হয়। এর জন্য এদেরকে আরবিসি বলা হয়। লোহিত রক্তকণিকা প্রকৃতপক্ষে হিমোগ্লোবিন ভর্তি চ্যাপ্টা আকৃতির ভাসমান ব্যাগ আকারে হয়ে থাকে।

এ কারণে লোহিত রক্ত কণিকা অধিক পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করতে পারে। লোহিত রক্ত কণিকার কোষগুলো বিভাজন হয় না। কনিকা গুলো সর্বক্ষণে অস্থিমজ্জার ভিতরে উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং উৎপন্ন হওয়ার পর এগুলো রক্তরসে চলে আসতে থাকে।

মানুষের শরীরে লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়ু প্রায় চার মাস অর্থাৎ ১২০ দিন হয়ে থাকে। অর্থাৎ লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ১২০ দিন।

স্তন্যপায়ী প্রাণীদের লোহিত রক্তকণিকা গুলো উৎপন্ন হওয়ার পর রক্ত রসে আসার পূর্বে নিউক্লিয়াসবিহীন হয়ে যায়। অন্যান্য মেরুদন্ডী প্রাণীর ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা অর্থাৎ এদের লোহিত রক্তকণিকা গুলোকে নিউক্লিয়াস থাকে।

লোহিত রক্তকণিকা প্লীহাতে সঞ্চিত হয়ে থাকে এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের সেখান থেকে লোহিত রক্তকণিকা রক্তরসে সরবরাহ করে থাকে।

লোহিত রক্তকণিকার কাজঃ লোহিত রক্তকণিকা প্রাণী দেহের বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে তার মধ্যে প্রধান কয়েকটি কাজ হল; লোহিত রক্তকণিকা দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। নিষ্কাশনের জন্য কিছু পরিমাণ অক্সাইডকে টিস্যু থেকে ফুসফুসে বহন করে থাকে। হিমোগ্লোবিনের সাহায্যে রক্তে অম্ল ক্ষারের সমতা বজায় রাখার জন্য বাফার হিসেবে কাজ করে থাকেন।

শ্বেত রক্তকণিকার গড় আয়ু কত দিন

শ্বেত রক্তকণিকার নির্দিষ্ট কোন আকার নেই। এগুলো হিমোগ্লোবিনবিহীন হয়ে থাকে। নিউক্লিয়াস যুক্ত বড় আকারের কোষ এই শ্বেত রক্তকণিকা। শ্বেত রক্তকণিকার গড় আয়ু ১-১৫ দিন। শ্বেত রক্তকণিকা অ্যামিবার মত দেহের আকার পরিবর্তন করে থাকে।


শ্বেত রক্তকণিকা গুলো রক্ত রসের মধ্যে দিয়ে নিজেরাই চলতে পারে। রক্ত জালিকার প্রাচীর ভেদ করে টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। দেহের বাহিরে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত শ্বেত রক্তকণিকা সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে। মানবদেহের প্রতি ঘন মিটার রক্তের চার থেকে দশ হাজার শ্বেত রক্তকণিকা থেকে থাকে।

অণুচক্রিকার গড় আয়ু কত দিন 

অণুচক্রিকার গড় আয়ু ৫-১০ কত দিন হয়ে থাকে। মানবদেহের প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে অনুচক ক্রিয়ার সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। অসুস্থ দেহে অনুচক্রিকার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পায়। অনুচক্রিকা অনেক কাজ করে থাকে তার মধ্যে প্রধান কাজ হল রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

মানবদেহে যখন কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা কেটে যায় তখন সে অনুচক্রিকা গুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং থ্রম্বোপ্লাসটিন নামক পদার্থের সৃষ্টি করে থাকে। ফলে ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।

BMI কি

শিশুর জন্ম গ্রহণের পর থেকে তার দেহের বৃদ্ধি করতে থাকে। পরবর্তীকালে শৈশবকাল আসে, শৈশবকাল পার হয়ে আসে কৈশোর কাল,কৈশোর কাল পার হয়ে যৌবনকাল এবং প্রাপ্ত বয়সে উপনীত হয়ে থাকে। মানবদেহের বৃদ্ধি ঘটে থাকে ২০-২৪ বছর পর্যন্ত। তারপর আর মানব দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি হয় না।

তখন থেকে খাদ্যের কাজ শুরু হয় শুধু দেহের ক্ষয় পূরণ এবং দেহে কে সুস্থ সবল এবং নীরোগ রাখার জন্য। প্রাপ্ত বয়সে সুস্বাস্থ্যের জন্য দেহের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দেহের অর্জনের একটা সামঞ্জস্য সাধন করে থাকে। দেহের উচ্চতার সাথে ওজনের সামঞ্জস্য বজায় রাখাকে বিএমআই বলা হয়।


BMI এর পূর্ণরূপ হল Body Mass Index. উচ্চতার সাথে যদি দেহের ওজনের ভারসাম্য বজায় থাকে তবে পুষ্টিগত দিক থেকে শরীর সুস্থ বলা হবে। আমাদের দেহে চর্বির পরিমাণের নির্দেশক হচ্ছে বি এম আই বা ভরসূচি। কোন ব্যক্তির ওজনের সাথে যদি উচ্চতার কম বেশি হয় তাহলে তাকে স্থূলকার বলে বিবেচনা করা হবে।

বি এম আই বা দেহর ভরসূচি নির্ণয় করার নিয়ম হলো; দেহের ওজনকে দেহে উচ্চতা দিয়ে ভাগ করলে যে ফল হবে, সেটি হবে ব্যক্তির বি এম আই বা ভরসূচি।

শেষ কথা

প্রিয় সম্মানিত পাঠক আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এবং আপনার বন্ধুদের মাঝেও শেয়ার করে দেবেন।
* ধন্যবাদ*

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ার্ল্ডস টুয়েন্টিফোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url