আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার-কারণ ও ফলাফল

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় সম্মানিত পাঠক হয়তো বা আপনি আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলার কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন। সঠিক তথ্য কোথাও পাচ্ছেন না। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মামলার কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা-কারণ ও ফলাফল
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পর বাংলার জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। তাহলে চলুন নিচে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে পড়া শুরু করা যাক।

ভূমিকা

পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তাদের অধিকার ও দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য একের পর এক সংগ্রাম করে। এই সকল ন্যায্য দাবি ও অধিকার কে দমন করার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা

আইয়ুব খানের শাসনামলের এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র আগরতলার মামলা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতির ময়দান হতে নির্মূল করতে এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের লড়াই নস্যাৎ করতে পাকিস্তানি শাসক চক্র এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার দায়ের করে।

১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। এর প্রেক্ষাপটে আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা করা হয়। ১৯৬৭ সালের ৬ দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি যখন ব্যাপক আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের রূপ লাভ করে তখন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আন্দোলনকে স্থিমিত করার এক কুটকৌশল আবিষ্কার করেন।


১৯৬৮ সালের ৬ জানুয়ারি ২ জন সি.এস.পি অফিসার সহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তাদের বিরোধী অভিযোগ ছিল তারা আগের বছর ১৯৬৭ সালে ডিসেম্বর মাসে ভারতের আগরতলায় এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

ভারতীয়দের সহযোগিতায় পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান হতে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করেন। অভ্যুত্থান সকল করার জন্য তারা ভারতীয়দের নিকট হতে অস্ত্র ও অর্থসহ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এই মর্মে অর্থ ও অস্ত্রের ওপর একটি তালিকা ও প্রকাশ করানো হয়।

কয়েকদিনের মধ্যে দ্রব্য প্রেসনোটে বলা হয়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন এবং এ ব্যাপারে আরো তদন্ত চলছে। ৬ জানুয়ারি আসামিদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে ১৯৬৮ সালে ১৮ জানুয়ারি ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা ও পরিচালনার অভিযোগ এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে পূর্বের ২৮ জনসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলাটি দায়ের করার আগে ১৯৬৭ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, রাজনৈতিক এবং সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকার ১০০ টির বেশি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি বা এক নাম্বার আসামি করা হয়ে থাকে। এবং বাকি ৩৪ জন আসামি সবাই ছিল সামরিক বাহিনীর সদস্য।

এই মামলাই ইতিহাসের আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা নামে খ্যাত। এই মামলাটি সরকারি নাম ছিল "রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য"। ৩৫ জন ছাড়াও আরোও ১১ জনকে আসামি করা হয় কিন্তু তারা রাজসাক্ষী হতে চাইলে সরকার তাদের মুক্তি দেয়। 

উপযুক্ত আসামিদের প্রথমে দেশ রক্ষা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর ১৮ জানুয়ারি দেশ রক্ষা আইন হতে মুক্তি দিয়ে আর্মি নেভি অ্যান্ড এয়ারফোর্স এ্যাক্টে পুনরায় গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় জেল হতে কুর্মিটোলা সেনানিবাসে স্থানান্তর করা হয়ে থাকে। 

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কারণ

নিম্নে আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলার কারণ সমূহ সম্পর্কে উল্লেখ্য করা হলো:

১. ছয়-দফা কর্মসূচিঃ ছয়-দফা বাঙালির মুক্তির সনদ। বাঙালির বেঁচে থাকার দাবি ছিল ছয় দফা। ৬ দফা দাবির ফলে যে আন্দোলন শুরু হয় তা দমন করার জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। পাকিস্তান সরকার ছয় দফাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও পাকিস্তান ভাঙ্গনের দাবি বলে ঘোষণা করে।

ছয় দফা দাবি পাকিস্তানি সরকার কর্তৃক উপেক্ষিত হলে পূর্ব-বাংলার জনগণ তীব্র আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনকে দমন করার জন্য আগরতলা মামলা দায়ের করা হয়।

২. শেখ মুজিবকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করাঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা অন্যতম কারণ ছিল শেখ মুজিবরকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করা। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা। শেখ মুজিবর রহমান সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সুদৃর করে। যা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য অস্বস্তিকর ছিল।

৩. সংবাদপত্র ও মৌলিক অধিকার হরণঃ আইয়ুব খান সরকার সংবাদপত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। জনগণের মতামত প্রকাশের পথ বন্ধ করে এবং মৌলিক অধিকার হরণ করে। যার ফলে তীব্র গণ অসন্তোষ সৃষ্টি হয় যা দমনের জন্য আগরতলা মামলা দায়ের করে।


৪. জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নির্মূল করাঃ পাকিস্তানের বৈষম্যমূলক নীতির ফলে পূর্ব-বাংলায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। যা আইয়ুব সরকারকে ভাবিয়ে তোলে। এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন করার জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা করা হয়।

৫. গণ আন্দোলনকে নস্যাৎ করাঃ ছয় দফা ভিত্তিক আন্দোলন যখন সর্বস্তরে প্রসার লাভ করেছিল তখনই সরকার রবীন্দ্র সংগীত ও পহেলা বৈশাখ নিষিদ্ধ করে এবং আরবি হরফে বাংলা চালুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ফলে আন্দোলনের গতি বহু গুনে বেড়ে যায়।

এর ফলে পূর্ব পাকিস্তান ছয় দফা আন্দোলন আন্দোলনে পরিণত হয়। সরকার এ আন্দোলনের দাবিকে নস্যাৎ করে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়ে পড়ে। আর এরই ধারাবাহিকতায় আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা উপস্থাপন করা হয়।

৬. শোষণ অব্যাহত রাখাঃ এসময় পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে এমন একটি ধারণা তৈরি হয় যে, শেখ মুজিবর রহমানকে দমন করতে না পারলে তাদের অর্থনৈতিক শোষণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা সব বন্ধ হয়ে যাবে।

তাই এই অবস্থায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দমন করে তারা শাসন ও শোষণ অব্যাহত রাখতে চায়।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ফলাফল

শেখ মুজিবুর রহমান সহ বাঙালি অন্যান্য নেতা ও সামরিক লোকদের নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার নামে যে মামলা করা হয় তা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে এই মামলার ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। নিম্নে আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলার ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো;

১. শেখ মুজিবরের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ফলে শেখ মুজিবরের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এই মামলার শুরুর দিকে শেখ মুজিবরকে অভিযুক্ত করা হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইয়ুব সরকার ষড়যন্ত্র করে শেখ মুজিবকে সরাসরি এই মামলার অভিযুক্ত করেন এবং তাকে এক নাম্বার আসামি করা হয়।

মামলায় শেখ মুজিবরকে অন্তর্ভুক্তকরণে বাংলার জনগণ খুবই ফেটে পড়ে এবং শেখ মুজিবর রহমান অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়। এই মামলার ফলে ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধিতে ঘোষণা করা হয়।

২. গণঅভ্যুত্থান সংঘটিতঃ ১৯৬৯ সালে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছিল তা ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলার প্রত্যক্ষ ফলশ্রুতি। ১৯৬৮ সালে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সরকার যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে তখন থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন খুব দ্রুত বিকাশ লাভ করে।

এই মামলার ফলে সকল শ্রেণীর পেশার জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয় এবং জনগণের এই সুদৃঢ় ঐক্যবদ্ধতা ব্যাপক আন্দোলনের জন্ম দেয় এবং এরই ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং জনগণের এই ঐক্যবদ্ধ মুষ্টি পরবর্তীতে আর বিচ্ছিন্ন হয়নি।

৩. মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবরকে মুক্তিদানঃ প্রবল গণঅভ্যুত্থানের কারণে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। ঐদিন জনতার চাপে শাসকগোষ্ঠী শেখ মুজিবরকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।


৪. গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠনঃ জনতার ছয় দফা ও ছাত্র সমাজের ১১ দফার ফলে গোটা দেশ যখন আন্দোলনের গণমঞ্চে পরিণত হয় ঠিক সেই সময়ে ১৯৬৯ সালের ৮ই জানুয়ারি পাকিস্তানের ৮ টি রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে।

এই গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ ৮ দফা ঘোষণা করেন এবং এই ৮ দফা ভিত্তিক দাবি নিয়ে আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

৫. মামলা প্রত্যাহার আইয়ুব সরকারের পতনঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ফলে গোটা দেশব্যাপী যে স্বাধীনতাকামী ও আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় আইয়ুব সরকার তার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয় এবং ব্যাপক আন্দোলনের চাপে আয়ুব সরকার নিরুপায় হয়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নেয়।

এই মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামিদেরকে মুক্তি প্রদান করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। বস্তুত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করে যে,গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয় তাতে পাকিস্তানের সেই সামরিক শাসক আইয়ুব খান ও তার দোসর মোনায়েম খানের পতন ঘটে।

৬. ১৯৭০-এর নির্বাচনঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবাদের যে গণ আন্দোলন শুরু হয় তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে। জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের উভয়ের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ টি আসনের মধ্যে ১৬২টি আসন এবং জাতীয় পরিষদের ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৮৮ টি আসন লাভ করে। যা পাকিস্তান ভাঙ্গনের সুস্পষ্ট কারণ হয়ে ওঠে।

অতএব, বাঙালি জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত বিকাশ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট সৃষ্টির ক্ষেত্রে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ফলাফল ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মামলার ফলে বাঙালি জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এর ফলে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার পথে আরো একধাপ এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগণ তাদের ঐক্যবদ্ধতার পুনরায় পরিচয় দেয় এবং সর্বশেষে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং একসময় আমরা অর্জন করি কাঙ্খিত স্বাধীনতা।

শেষ কথা

প্রিয় সম্মানিত পাঠক আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা সঠিক তথ্য পেয়েছেন। এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এবং আপনার বন্ধুদেরও জানার সুযোগ করে দিবেন।
* ধন্যবাদ*

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
2 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Article
    Article December 2, 2023 at 11:22 PM

    আপু আপনার পোস্টটি, খুব সুন্দর হয়েছে, আমি আপনার আর্টিকেলগুলো কিনতে চাই,

  • Article
    Article December 2, 2023 at 11:24 PM

    একটা আর্টিকেল ৫০০ টাকা করে দিব আপু আপনি বিক্রি করবেন

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ার্ল্ডস টুয়েন্টিফোরের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url